৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক বেলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অনিবন্ধিত সেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করা করা হয়েছে।’ ‘রাজধানীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিজস্ব মনিটরিং টিম থাকবে। ঢাকার বাইরে জেলা সিভিল সার্জনদের নেতৃত্বে এই তদারকি করা হবে।’

তিন দিনের মধ্যে যারা অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বন্ধ করবে না, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’ প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মহাপরিচালক এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে রয়েছেন। উনি অধিদপ্তরে ফিরলে কথা বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিভিল সার্জনদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বেলাল হোসেন।

১. ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ করতে হবে।

২. অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. এ কার্যক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়ে নবায়ন করেনি, তাদের নবায়নের জন্য একটি সময়সীমা দিতে হবে।

৪. নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন না করলে সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।

৫. বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়া দেয়া এবং ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত ডাক্তার ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৬. যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাদের লাইসেন্স দেয়ার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্স প্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।